
চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার অবসান ঘটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনি একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ইচ্ছুক। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন, যা সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে বাণিজ্যনীতিতে আরও স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব। ট্রাম্পও তার বক্তব্যে বলেন, “চীনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারলে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে।”
চলমান আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে ট্রাম্প আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, “আমার মনে হয়, দুই দেশের জন্যই উপকারী একটি চুক্তি সম্ভব।”
বৈঠকে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও মন্তব্য করেন। ট্রাম্প বলেন, “সংঘাত নিরসনের ব্যাপারে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার ব্যাপারে আমরা অনেকটাই এগিয়ে গেছি।”
ট্রেড পলিসির প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক থেকে যে রাজস্ব অর্জন করছে, তা জাতীয় ঋণ কমাতে ব্যবহৃত হতে পারে।
দীর্ঘ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে ট্রাম্প জানান, তার প্রশাসন এমন একটি বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হবে।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “যদি কোনো চুক্তি না হয়, তবে ৯০ দিনের বিরতির সময়সীমা শেষে পুনরায় উচ্চ হারে শুল্ক কার্যকর হবে।” তিনি জানান, কোনো দেশ বা কোম্পানির প্রতি ছাড় দেওয়ার বিষয়ে তার প্রশাসনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
উল্লেখ্য, এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য নতুন করে আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছে।
অন্যদিকে, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে বলেন, “বাণিজ্য যুদ্ধে কোনো পক্ষই প্রকৃত অর্থে জয়ী হয় না।” সর্বশেষ চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :