প্রকৌশলীর দুর্নীতির মূল হাতিয়ার ড্রাইভারের ছেলে প্রধান অফিস সহকারী এখন কোটিপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
-
প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
জামালপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর দুর্নীতির মূল হাতিয়ার ড্রাইভারের ছেলে প্রধান অফিস সহকারী এখন কোটিপতি
জাকিরুল ইসলাম বাবু,
জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর দপ্তরতরের ড্রাইভার আব্দুল (হালিম) এর ছেলে দুর্নীতির মূল হাতিয়ার জাহাঙ্গীর কবির হোয়াইট (বাবু) দপ্তরের কোয়াটার থেকে তার বেড়ে উঠা এবং বাবার কোটায় অফিস সহকারী চাকরি পেয়ে যায়।
তার চাকরি শুরু ২০১৫ সালের ১মার্চে। দপ্তরের কমিশন বাণিজ্য ও দুর্নীতির দিকনির্দেশনা ভালো বোঝার বিষয়টা নির্বাহী প্রকৌশলী নজরে এলে তার পরেই বনে যায়। প্রধান অফিস সহকারী।
১৩তম গ্রেডের কর্মচারী হলেও এ অধিদফতরের কাগজ,কলম,কেনা থেকে শুরু করে,ঠিকাদারদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। দুর্নীতির মূল হাতিয়ার হোয়াইট (বাবু) এবং সবাই জানে হোয়াইট বাবুর কথাই নির্বাহী প্রকৌশলী সব কাজ বন্টন করেন।
এ অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফজলুল হকের সাথে দুর্নীতির প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কর্মকাণ্ড শুরু করেছিলেন। জাহাঙ্গীর কবির হোয়াইট (বাবু) পরবর্তীতে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাকে বদলি করেন। শরিয়তপুর।
তার পর ২২- অক্টোবর- ২০২০ সালে- যোগদান করেন। জামালপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীতে সুলতান মাহমুদ। দুর্নীতির মাত্রা বাড়তে থাকে- আলো-অন্ধকারের সুকর্ম-কুকর্মের রাজসাক্ষী হোয়াইট বাবু।
কখনো ঘটনার সহযোগি,কখনো অঘটনের উপাদান সরবরাহকারী আবার কখনো দুয়েমিলে করেছেন কু-কর্মগুলো। ফলে তার কব্জাতেই অফিসের প্রধান কর্তাটি। বদৌলতে বাস করছেন বড়স্যারের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়িতে,চাষ করেছেন সরকারি পুকুরে মাছ। কর্মস্থল আর নিয়ন্ত্রণ অফিসে প্রায় একযুগ থাকায় আধিপত্যটাও গড়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। সব মিলিয়ে হাজারের অঙ্কে বেতন পাওয়া ছয়পয়সার ড্রাইভারের ছেলে এখন কোটিপতি বনে গেছেন।
বর্তমানে সবাই তাকে এক নামে চিনে বলতে পারেন জাহাঙ্গীর কবির হোয়াইট (বাবু)।
জাহাঙ্গীর কবির হোয়াইট বাবুর দুর্নীতি অনিয়ম,কমিশন বানিজ্য,নিয়োগ তদবির ও পার্টনারে ঠিকাদারিসহ নানা অপকর্ম করে তিনি এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। দুদকের জাল ভেদ করতে নামে বেনামে জমি,বাড়ি,ব্যবসা বানিজ্যসহ বিপুল অর্থ সম্পদ গড়ে তুলছেন তিনি। তার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের হিসাব সম্পদের বেশকটি ব্যাংকে খতিয়ে দেখলেই প্রমাণ মিলে যাবে..
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি কর্মচারি হয়েও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত হোয়াইট (বাবু) জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহমেদের ভোজনবন্ধু পরিচয়ে প্রভাব, ঠিকাদার নিয়ন্ত্রণ,অনিয়ম, দুর্নীতির কাজে বিশ্বস্ত সহযোগীতা,বিশেষ চাহিদার বস্তু সাপ্লাই দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদের প্রিয়পাত্র হয়ে জনস্বাস্থ্য অফিসে দুর্দান্ত প্রভাব গড়ে তুলেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর প্রধান অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর কবির হোয়াইট (বাবু) রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের খন্ডচিত্র।
ঠিকাদার,অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারির দেয়া তথ্যমতে,নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রধান হাতিয়ার প্রধান অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর কবির হোয়াইট বাবু। তার ইশারা ছাড়া জনস্বাস্থ্যের অফিস আঙ্গিনায় একটি কর্মও সাধিত হয়না। তার আঙ্গুলের হেলনিতে চলে জনস্বাস্থ্যের অফিসিয়াল কার্যক্রম। নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস রুমের চেয়ে হোয়াইট বাবুর টেবিলের চারপাশ জুড়ে বসে থাকে ঠিকাদাররা।
বিজ্ঞপ্তিবিহীন কাজটি কতো পার্সেন্ট কমিশনে কাকে দিবেন,কার কাছে কাজ বিক্রি করবেন ঠিকাদার,ঠিকাদারি নয়া লাইসেন্স করা,নবায়ন, বাতিল,বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণার্থীর তালিকা তৈরি নানা কাজের সুলতানি দায়িত্ব সম্পন্ন হয়।
হোয়াইট বাবুর কলমের খোচায়। তার কলমের প্রতি খোঁচার রেট হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা।
অনুসন্ধানে আরো তথ্য মিলে- বাবু নিজেও ঠিকাদারি করেন। তবে সেটা একটু প্যাচ দিয়ে।
অন্য ঠিকাদারের লাইসেন্সে,ঠিকাদারদের সঙ্গে ঠিকাদারি কাজের পার্টনারে ও ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে দেয়ার চুক্তিতে পার্টনার থেকে ঠিকাদারি করছেন।
অনুসন্ধানে এমনও তথ্য পাওয়া যায়। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন। প্রকৌশলীর তালিকাভুক্ত বেশ কিছু ঠিকাদাররা।
এখানেই শেষ নয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীতে সাংবাদিকরা কোনো তথ্যের জন্য গেলে জামালপুর জেলা বিএনপি'র নেতার ভাগিনার নাম বলে. চাঁদাবাজি মামলা সহ মৃত্যুর হুমকীয় প্রধান করেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর প্রধান অফিস সহকারী হোয়াইট (বাবু)
আপনার মতামত লিখুন :