রাজধানীর ঢাকার সড়কে দিনে এবং রাতে বেপরোয়া হয়ে উঠে প্রাইভেট কার।
নিজস্ব প্রতিবেদক
-
প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এম মোহাম্মদ ওমর
দৈনিক বেলা বার্তা।
রাজধানীর সড়কে দিন ও রাতে শুরু হয় বেপরোয়া গতির প্রাইভেট কার নামক যানবাহন। এই সুযোগে বেপরোয়া হয়ে ওঠে ধনীর দুলালীরা। তারা মোটরবাইক ও প্রাইভেট কার নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় শহরের বিভিন্ন সড়ক-অলিগলি। এ সময় তাদের শিকার হয় রিকশাযাত্রী বা পথচারীরা। কখনও পিছন থেকে গাড়ি এসে লাগিয়ে দেয় ছিনিয়ে নেয় মূল্যবান একটি জীবন। আবার কখনও বামে চাপ দিয়ে যায় । এমন কর্মকাণ্ড চলে ভোর অবধি এবং প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড। তারপর আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আড়ালে চলে যায় তারা। আবার শুরু হয় একেক গ্রুপের বেপরোয়া হয়ে ওঠা
দিনে ও রাতে চলে বেপরোয়া ‘মহোৎসব।
রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম মহাসড়ক গুলো তখন থাকে খুবই ফাঁকা আবার খুবই ব্যস্ততম প্রত্যেকটা রোড তখনই ধনীর দুলালীরা এসব কর্মকান্ডে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
তবে কিছু কিছু চেকপোস্ট থাকা সত্ত্বেও এসব ধনীর দুলালীরা সে সবকিছু তোয়াক্কা না করেও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
এমনিতেই দিনে ও রাতের ঢাকায় পুলিশি টহল নেই বললেই চলে। সড়কের কোথাও কোথাও গতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়। কোথাও কো পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু তাদেরকে কিছু বলা হয় না।
এমনকি এই ধনীর দুলালীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স তাদের এখন পর্যন্ত হয়নি।
তবে তারা কিভাবে ব্যস্ততম রাজধানী ঢাকা শহরে এভাবে বেপরোয়া হয়ে ওঠে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশির ভাগ এলাকাতেই পুলিশের টহল ও চেকপোস্টে গা-ছাড়া ভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ সদস্যরা। টহল গাড়িতে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরা এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন। চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা দূরে বসে থাকেন। কখনও কখনও তারা রিকশাযাত্রীদের তল্লাশি করতে দেখা গেলেও, মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট কারকে তল্লাশি করা হয় না।
অবশ্য ডিএমপির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলছেন, রাজধানীতে দিন ও রাতের বেলায় যত যানবাহন চলাচল করে, তার সব কটি তল্লাশি করা সম্ভব হয় না। এ ছাড়া বেপরোয়া গতির প্রাইভেট কার গুলো টহল গাড়ি বা চেকপোস্ট আছে, এমন জায়গাগুলো এড়িয়ে চলে।
টহল পুলিশ চেক পোস্ট থাকলেও তল্লাশি করা হয় না
এর কারণেই আজকে রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এসব ধনীর দুলালেরা বেপরোয়াভাবে প্রাইভেটকার নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বাবার গাড়ি নিয়ে কিশোর কিশোরী নামক ধনীর দুলালেরা এসব কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে
রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন এলাকাতে ট্রাফিক পুলিশ কিছু কিছু জায়গায় নিয়োজিত আছে আবার কিছু কিছু জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের কোন অবস্থান নেই । যেসব জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে সেসব জায়গায় ডিউটি ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে বসে আছে তাদের সামনে দিয়ে শো শো করে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাচ্ছে তারা দেখেও কোন প্রকার ব্যবস্থা দিচ্ছে না।
এ সময় আমাদের একজন সিনিয়র রিপোর্টার তার বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে এক ধনীর দুলালী সাদা কালারের প্রাডো গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয় দুই পক্ষের বাগবিতণ্ডে জড়িয়ে গেলে অপরদিকের প্রাডো গাড়ির এক ধনীর দুলাল আমাদের সিনিয়র রিপোর্টার এর কাছে ক্ষমা চেয়ে চলে যায় তবে আমাদের দৈনিক বেলা বার্তার সিনিয়র প্রতিনিধি যখন ট্রাফিক পুলিশের সাহায্য চাওয়ার অপেক্ষা করেছিলেন কিন্তু তিনি কোথাও ট্রাফিক পুলিশ বা সার্জেন্ট দেখতে পাইনি । যখন ড্রাইভিং লাইসেন্স চাওয়া হয় সে সেটা দেখাতে পারেনি এবং উপযুক্ত কোন প্রমাণ আদি দেখাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন।
তবে এমন অবস্থা যদি হয় রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম শহরের রোডগুলোতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়।
যেখানে সড়কের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ট্রাফিক বিভাগের সেখানে ট্রাফিক পুলিশের কোন প্রকার উপস্থিতি নেই বলে দেখা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :