"কক্সবাজারে দখলবাজদের তালিকা শীগ্রই কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকাশ": লুৎফর রহমান কাজল
নিজস্ব প্রতিবেদক
-
প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
নুরুল ইসলাম কক্সবাজার
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর কক্সবাজারের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য চালনোর অভিযোগ উঠেছে । এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও দাবি উঠেছে জেলা বিএনপির অনেক নেতার বিরুদ্ধে।
গত ৫ আগস্ট জুলাই অভ্যূত্থানে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী শাসকের পতনের পর বিএনপির অনেক নেতা কর্মী যুবদল,ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বেপরোয়া হয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের সূত্র ধরে কক্সবাজার কলাতলীস্থ তারকা হোটেল সায়মান বিচ রিসোর্টের ভেতর একটি গলিতে টাকা গুনে নিচ্ছেন একদল যুবক-তরুণ। এদের মাঝে রয়েছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহদাত হোসেন রিপনও। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ নিয়ে চারদিকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে বলছেন, আওয়ামী লীগের পরে একইরূপে ফিরছে বিএনপি। তবে, রিপনের দাবি কর্তৃপক্ষের আহ্বানে হোটেলে রক্ষা করতে গিয়েছিলেন তারা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায় টাকা পরখ করতে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, কোন সদুত্তর দেননি তিনি।
অন্যদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যুবক ও তরুণদের টাকা গোনার স্থলে সায়মন বিচের আসাদ নামের এক কর্মকর্তাকেও দেখা যাচ্ছিল।
কক্সবাজারে বিএনপির নেতাকর্মীদের এমন কর্মকান্ডের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একই গোয়ালের তাতে কোন পার্থক্য বিদ্যমান হছে না।
এ নিয়ে আজ কক্সবাজারের সফল সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল তার ফেইসবুকে বিএনপি নেতা কর্মীদের সতর্কবার্তা দিয়ে লিখেন,কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনে দখল বেদখলের সাথে জড়িত দায়ী ব্যাক্তি বা নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক দখলবাজদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :