বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
-
প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট।
এম মোহাম্মদ ওমর।বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে বিএনপিপন্থি দুই শ্রমিক সংগঠনের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বাসস্ট্যান্ডের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া দিতে দেখা যায়। কিছু সময় পর অতিরিক্ত সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে উভয় পক্ষ অবস্থান ছেড়ে চলে যায়। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থিত শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন বাসস্ট্যান্ড ছেড়ে যায়। তখন কয়েক দিন বাস চলাচল ও টিকিট কাউন্টারগুলো বন্ধ ছিল। দুই-তিন দিন পর বিএনপির শ্রমিক দল সমর্থিত একটি পক্ষ বাসস্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আন্তঃজেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন করে। তবে কদিন না যেতেই শ্রমিক দলের অন্য একটি পক্ষ একই ইউনিয়নের কমিটি গঠন করে স্ট্যান্ডের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর থেকেই বাসস্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রদান করে। দুই পক্ষই নিজেদেরকে শ্রম অধিদপ্তর ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের অনুমোদিত কমিটি দাবি করে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বাসস্ট্যান্ডের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া দিতে দেখা যায়। কিছু সময় পর অতিরিক্ত সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে উভয় পক্ষ অবস্থান ছেড়ে চলে যায়। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থিত শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন বাসস্ট্যান্ড ছেড়ে যায়। তখন কয়েক দিন বাস চলাচল ও টিকিট কাউন্টারগুলো বন্ধ ছিল। দুই-তিন দিন পর বিএনপির শ্রমিক দল সমর্থিত একটি পক্ষ বাসস্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আন্তঃজেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন করে। তবে কদিন না যেতেই শ্রমিক দলের অন্য একটি পক্ষ একই ইউনিয়নের কমিটি গঠন করে স্ট্যান্ডের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর থেকেই বাসস্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রদান করে। দুই পক্ষই নিজেদেরকে শ্রম অধিদপ্তর ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের অনুমোদিত কমিটি দাবি করে।
দাবি করা দুই কমিটির এক পক্ষের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শামিম খান। অন্য পক্ষে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন আবুল কাশেম ভুঁইয়া সেলিম ওরফে সেলিম ভুঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন শেখ জাহিদুল ইসলাম। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এবং শামিম খান জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অন্য পক্ষের আবুল কাশেম ভুঁইয়া সেলিম ওরফে সেলিম ভুঁইয়া বাগেরহাট পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি। শেখ জাহিদুল ইসলামের দলীয় পদ-পদবি জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একটি পক্ষ সোমবার বাসস্ট্যান্ডে যাবে বলে আগের দিন ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে সকাল থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ মোতায়েন করা হয়, টহল চলছিল সেনাবাহিনীরও। এরই মাঝে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বাসস্ট্যান্ডে পূর্ব দিকের সড়ক দিয়ে লাঠিসোঁটা, দা-ছুরি, রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেলিম ভুঁইয়া গ্রুপের লোকজন স্ট্যান্ডের দিকে আসতে শুরু করে। তখন স্ট্যান্ডের ভেতর থাকা শ্রমিক দল নেতা শামীম খান ও সাইফুল ইসলামের লোকজনও লাঠিসোঁটা নিয়ে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে ইটপাটকেল ছোড়া ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে স্ট্যান্ডের দখলে থাকা সাইফুল ইসলাম ও শামীম খানের লোকজন পিছু হটে এবং সেলিম ভূঁইয়ার লোকজন স্ট্যান্ডে ঢুকে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
তবে এ সময় সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের নিষ্ক্রিয় দেখা যায় দাবি করে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি ও অতিরিক্ত পুলিশ আসে। তখনো সশস্ত্র অবস্থায় মহড়া দিতে দেখা যায় শ্রমিক নেতাদের। পরে অতিরিক্ত সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে দুই পক্ষই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। তখন আশপাশের অবস্থান নেওয়া উৎসুক লোকদেরও সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী।
শেখ জাহিদুল ইসলাম নিজেকে জেলা শ্রমিক দলের নেতা হিসেবে পরিচয় দিলেও তার দলীয় পদ জানা যায়নি। আর সাইফুল ইসলাম জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক। অপরদিকে সেলিম ভুঁইয়া ওরফে আবুল কাশেম ভুঁইয়া সেলিম বাগেরহাট পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি। দুই পক্ষই আন্তঃজেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের দুটি কমিটি গঠন করেছে এবং এক পক্ষ অন্য পক্ষের কমিটিকে অবৈধ বলে দাবি করছে।
শামীম খান বলেন, ফেডারেশন ও শ্রম অধিদপ্তর আমাদের অনুমোদন দিয়েছে। আমরা শপথ গ্রহণ করে শ্রমিক ইউনিয়ন পরিচালনা করছিলাম। আবুল কাশেম ভুঁইয়া সেলিমের নেতৃত্বে একটি দল এসে বাসস্ট্যান্ড দখল করেছে। তারা বাসস্ট্যান্ড ভাঙচুর ও লুট করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কাশেম ভুঁইয়া সেলিম বলেন, একটি পক্ষ অবৈধভাবে বাসস্ট্যান্ড ও শ্রমিক ইউনিয়ন দখল করে চাঁদাবাজি করে আসছিল। শ্রম অধিদপ্তর ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন আমাদের কমিটিকে অনুমোদন দিয়েছে। আমরা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা বিএনপিকে অবহিত করে বাসস্ট্যান্ড দখলমুক্ত করেছি। আমরা লুট করিনি এবং ভাঙচুরও করিনি।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, আমরা দুই পক্ষকেই সরিয়ে দিয়েছি। কোনো প্রকার বড় বিশৃঙ্খলা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :