ad728

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে চাঁদপুর লেখক পরিষদের সাহিত্যপাঠ ও আলোচনা সভা


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবির ক্যাপশন: ad728

বাসুদেব সরকার, চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি: 

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর লেখক পরিষদের সাহিত্যপাঠ ও আলোচনা সভা শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় শহরস্হ সাহিত্য একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়।

চাঁদপুর লেখক পরিষদের সভাপতি কবি-প্রাবন্ধিক-গবেষক জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন চাঁদপুর লেখক পরিষদের সাবেক সভাপতি, নজরুল গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফতেউল বারী রাজা, বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোশারেফ হোসেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সরদার আবুল বাসার, আনন্দধ্বনি সংগীত শিক্ষায়তন এর অধ্যক্ষ ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ রফিক আহম্মেদ মিন্টু, দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটি চাঁদপুর জেলা কমিটির সভাপতি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. কাজী হাসেম, চাঁদের হাট চাঁদপুর জেলা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ব্যাংকার মুজিবুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: ছানাউল্লাহ খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: জয়নাল আবেদিন খান, বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেন ঢালী, চাঁদপুর লেখক পরিষদের সহ-সভাপতি ডা. মাসুদ হাসান।

কবিতা আবৃত্তি ও সঞ্চালনা করেন খোকন চন্দ্র মজুমদার, আবৃত্তি করেন চাঁদপুর লেখক পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ আচার্যী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্হিত ছিলেন দৈনিক কালবেলা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি অমরেশ দত্ত জয়, শিশু থিয়েটারের সভাপতি পি এম বিল্লাল, মেঘনা থিয়েটারের সভাপতি তবিবুর রহমান রিংকু ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ডাক্তার, চাঁদপুর লেখক পরিষদের অর্থ সম্পাদক ইমরান শাকির ইমরু ও প্রচার সম্পাদক সাইফুল খান রাজিব, সাংবাদিক জয় নাগ, চাঁদপুর লেখক পরিষদের সদস্য কথা সাহিত্যিক রাজীব দাস, সমকাল সুহৃদ চাঁদপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুল আহছান সুফিয়ান, চাঁদপুর লেখক পরিষদের সদস্য বাহার হায়দার চৌধুরী ও রোকেয়া আক্তার।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ঠিক দুই দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করে বাংলাদেশ নামক একটি ভূ-খণ্ড প্রতিষ্ঠা পায়। বিজয় অর্জন যদি দীর্ঘ হতো তাহলে আরও বুদ্ধিজীবীদেরকে সারাদেশে হত্যা করা হতো। মুক্তিযুদ্ধকালীন ইয়াহিয়ার দোসররা এখনও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্হানে আছে। এরা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করছে। বুঝতে হবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ একটি মীমাংসিত বিষয়। এটাকে কোনভাবেই কটাক্ষ করা ঠিক হবে না। 

বক্তারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যা যা ছিলো তা এখনও পূরণ হয়নি। তার জন্য নতুন করে সংগ্রাম রচনা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় মানুষ এখনও জীবন দিচ্ছে। যতদিন  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ভবিষ্যত প্রজন্মকে সংগ্রাম করতে হবে।