পলাশবাড়ীতে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্চিত-শাস্তির দাবী
নিজস্ব প্রতিবেদক
-
প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
পলাশবাড়ীতে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্চিত-শাস্তির দাবী
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।
বর্তমান বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এ.এফ.হাসান আরিফের মৃত্যুতে সরকার ২৩/১২/২৪ ইং রাষ্ট্রীয় ভাবে শোক দিবস পালনের জন্য পরিপত্র জারী করেন। সে মোতাবেক সরকারি /বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার কথা। কিন্ত গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কাতুলী ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহামুদা বেগম সরকারি পরিপত্র অমান্য করে উক্ত দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। বিষয়টি জানার পর গাইবান্ধার সুপরিচিত চ্যালেন 24 এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি,স্থানীয় দৈনিক ঘাঘট পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আসাদুজ্জামান মামুনসহ তার ক্যামেরা পারসন ও পলাশবাড়ীর কয়েকজন সাংবাদিক উক্ত স্কুলে তথ্য সংগ্রহের জন্য হাজির হন। এ সময় সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার (এটিও) ফিরোজ কবির উপস্থিত থেকে সাড়ে ৩ টায় পতাকা উত্তোলন করেন। খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগম বিদ্যালয়ে হাজির হলে তাকে কেন সরকারি নির্দেশ মানা হয়নি জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং সাংবাদিক মামুনের গলা চেপে ধরতে ধরেন এবং থাপ্পড় মারতে ধরেন। এর আগেও গত ২/১২/২৪ ইং নির্ধারিত সময়ের পুর্বে ছুটি দেয়া নিয়ে গাইবান্ধার ২ সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং তার স্বামী ফেরদৌসও সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন ও কি করার আছে করেন বলে হুমকী দেন। সে ব্যাপারেও তাকে শো- কোজ করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবকরা বলেন,সাংবাদিক স্বামীর দাপটে প্রধান শিক্ষক মাহমুদা একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছেন। ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল সাংবাদিকের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ দায়ী প্রধান শিক্ষক মোছাঃ মাহমুদা বেগমের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :