ad728

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবির ক্যাপশন: ad728

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন। 

 মোঃ জাহাঙ্গীর আলম গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।


৩০/১২/২০২৪ইং


জুতার মালা শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে পরানো হয়নি এই মালা সমস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যারা স্বাধীনতার পক্ষের লোক আছে তাদের সকলের গলায় এই জুতার মালা পরানো হয়েছে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যে অপমান করা হয়েছে, তা ইতিহাসে বিরল এবং কল্পনাতীত। এ ধরনের ঘটনা আমাদের জাতীর মানসিকতা ও অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা স্বাধীনতাকে অপমান করার শামিল।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর প্রতীক আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে আজ সোমবার  সকালে ডিবি  রোডে গাইবান্ধা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড এর কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের  সাবেক সদর উপজেলা কমান্ডার  আলি আকবরের সঞ্চালনায়  ও  জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক আহ্বায় মাহমুদুল হক শাহজাদা এর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন-
প্রাক্তন ডেপুটি কমান্ডার 
ওয়াসিকার মোহাম্মদ ইকবাল মাজু,বীর মুক্তিযোদ্ধা বাছেদ সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাহার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান চান প্রমুখ 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যেভাবে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করা হয়েছে এটা স্বাধীনতাকে হেনস্তা করা হয়েছে। হামলাকারীরা যে শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন তাদের বাবারও যদি মুক্তিযোদ্ধা হতো তাহলে তারা তাদের বাবার গলাতেও জুতার মালা পরাতো।

একজন মানুষ অপরাধী হতে পারে, তার নামে মামলা থাকতে পারে তার মানে এই নয় যে তাকে জুতার মালা পরাবেন। তার অপরাধের জন্য রায় দেবে আদালত আছে, বিচার আছে। একজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা কতবড় অসহায় হলে জুতার মালা পরিয়ে তাকে আপনার কাছে জোড় হাত করে মাফ চাইতে হবে। এই লজ্জা জাতির, এই লজ্জা এই বাংলাদেশের সকলের। শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা কানুকে নয়, যারা স্বাধীনতার পক্ষের লোক আছে তাদের সকলের গলায় এই জুতার মালা পরানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এমন আচরণের প্রেক্ষিতে আমাদের কেবল প্রতিবাদ, শোক এবং নিন্দা জানানোর ক্ষমতাই অবশিষ্ট রয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে  আইনের আওতায় এনে  দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি এই এইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে  ১৯৭১ সালের মত  আবার  একটি যুদ্ধের ঘোষণা দেন।