হতাশায় ভুগছে জয়পুরহাটের কৃষকেরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
-
প্রকাশিত : ০১ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
হতাশায় ভুগছে জয়পুরহাটের কৃষকেরা, মুলা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১ টাকা ফুলকপি প্রতি পিস ২ টাকায়।
সুকমল চন্দ্র বর্মন (পিমল)
জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি :
জেঁকে বসেছে শীত বাজারে বাজারে বেড়েছে শীতকালীন শাক সবজির উপস্থিতি।শীতকালীন সবজির মুলা ও ফুলকপির দাম পাচ্ছেনা জয়পুরহাটে চাষীরা। হতাশায় ভুগছেন তারা। বাজারে মুলার দাম কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি মন মাত্র ৪০ টাকায়। আর ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস মাত্র ২ টাকায়।কৃষকদের দাবী এই দামে মুলা ও ফুলকপি বিক্রি করে উৎপাদন খরচই তাদের উঠছে না।অন্যদিকে কৃষিবিভাগ বলছে উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। শস্যভান্ডার খ্যাত জয়পুরহাটে এবার প্রচুর সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে মুলার। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মুলা এখন বিক্রি হচ্ছে এক টাকা দরে। কৃষকেরা জানান জমি তৈরি সহ সার, বীজ, কীটনাশক বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় দশ হাজার টাকা। শুরুর দিকে আশানুরূপ দাম পেলেও বর্তমানে বাজারে মুলার দাম না থাকায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।শুরুর দিক থেকেই আড়াই হাজার টাকা মন থাকলেও এখন ৪০ টাকার ও কম দামে মুলা বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া হাটে প্রচুর মুলার আমদানি হওয়ায় তুলনামূলকভাবে দাম কম।ফলে মুলা ও ফুলকপি হাটে নিয়ে এসে ক্রেতার অভাবে বসে থাকতে হচ্ছে। এতে আমাদের লাভ তো দূরের কথা খরচই উঠছে না। জয়পুরহাট শহরের নতুন বাজারের ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী বলেন সবজি কিনে রাজধানীর কাওরানবাজার ও যাত্রাবাড়ীর আড়তে নিয়ে যেতে গাড়ি ভাড়া বেড়েছে।সেই সঙ্গে প্রতিমন মুলাও ফুলকপিতে শ্রমিক খরচ সহ ঢাকায় পৌঁছাতে খরচ পড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এমন অবস্থায় আমরাও খুব বেশি লাভ করতে পারছি না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভিন বলেন এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে এবার। অন্য সবজির সাথে চাষীরা একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে মুলা ও ফুলকপি চাষ করেছেন। ভালো ফলন হওয়ায় হাটবাজারে আমদানি ও বেশি।সবজি পচনশীল পণ্য সেই সঙ্গে সংরক্ষণ সুবিধা না থাকায় ক্ষেত থেকে উত্তোলন করেই কৃষকদের বিক্রি করতে হয়। আবার সিন্ডিকেট সহ নানা সংকটে প্রকৃত মূল্য পাচ্ছেন না তারা। রবি মৌসুমে এই জেলায় ৪ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে এবার প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :