প্রিন্ট এর তারিখঃ Dec 23, 2024 ইং || প্রকাশের তারিখঃ ০৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ইং
মাদারীপুরে বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমলেও এখনও স্বস্তিকর পর্যায়ে আসেনি"
মোঃ রুবেল আহমেদ
শিবচর উপজেলা প্রতিনিধি
মাদারীপুরে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সামান্য কমলেও ভোক্তাকে এখনও চড়া দামেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হচ্ছে।
গত এক বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসেনি। চাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, আটা, মসুর ডাউল, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, আলু, সবজিসহ প্রায় ১৫টি পণ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রধান ব্যতিক্রম দেখা গেছে চাল ও বিশেষ করে দেশীয় পেঁয়াজের দামে। দুটি পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বেশি।মাদারীপুর, শিবচর, কালকিনি বাজার গুলোতে গতকাল (৪ নভেম্বর) ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ১৩৫–১৪০ টাকা কেজি। দুই সপ্তাহ আগে এ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০–১১৫ টাকায়।
মাদারীপুর শিবচর এর প্রধান বাজার গুলো ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় সবজির দাম প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে । তবে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রায় গত বছরের মতোই।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, কিছু পণ্যের দামে পার্থক্য লক্ষ্য করা গেলেও সামগ্রিক ওঠানামা খুব একটা কমেনি বরং বেড়েছে।
বছর ব্যবধানে কমেছে ডিম, আমদানি করা পেঁয়াজ, রুই মাছ, কাঁচামরিচের দাম। তবে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। মাঝারি বিআর আটাশ চাল এখন ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।মাদারীপুর শিবচর কতিপয় অনেক দোকান দারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন সরকারকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে। আমরা বাজারে সেভাবে দৃশ্যমান মনিটরিং দেখছিন না।'
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার আমদানি পর্যায়ে রুখে দাঁড়ানো উচিত। যেমন চিনি, সয়াবিন তেল, পাম তেল ও ডিমের শুল্কহার কমিয়ে জনগণের পাশে থাকার দরকার।
এছাড়া শুক্রবার শনিবার চাল আমদানিতেও শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণ শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার। তবে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে মনিটরিং বাড়াতে হবে।
আরও বলেন, অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী।
'আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখা, দেশের অর্থনীতিকে স্বাভাবিক করা, নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে এনে মানুষেকে স্বস্তি দেওয়া এগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
© দৈনিক বেলা বার্তা