প্রিন্ট এর তারিখঃ Dec 23, 2024 ইং || প্রকাশের তারিখঃ ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ইং
শিক্ষক পরিবারকে হয়রানী শিকার বাগান বাড়ির গাছ কেটে নিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
এম মোহাম্মদ ওমর।
জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের সোনাখালী গ্রামের মাদ্রসা শিক্ষক অমিত কুমার শীলের পরিবারকে হয়রানী করছে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকাশ্যে বাগান বাড়ির শিরিস, মেহগনিসহ প্রায় ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের গাছ দু’দফায় কেটে নিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সোমবার ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষকের পিতা বৃদ্ধ নিতাই চন্দ্র শীল বাদি হয়ে ফেরদাউস খানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামোর অবসরপ্রাপ্ত ইউপি সচিব বৃদ্ধ নিতাই চন্দ্র শীলের ছেলে শিক্ষব অমিত কুমার শীলের পৈত্রিক বাগান বাড়ির সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে একই গ্রামের প্রভাবশালী প্রতিবেশী ফেরদাউস খানের নেতৃত্বে ৩-৪ জন সঙ্গবদ্ধ দল ওই শিক্ষকের বাগান বড়ি থেকে জোর পূর্বক ২টি চম্বল ও ৪টি শিরিস গাছ কেটে নিয়ে যায়। এর পূর্বে আরও এক দফায় এ প্রভাবশালী মহলটি ওই বাড়ি থেকে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের ৩টি চম্বল ও শিরিসসহ ছোট বড় ১০-১২টি ফলজ ও বনজ গাছ কেটে নিয়েছে।
বৃদ্ধ নিতাই চন্দ্র শীলের ছেলে শিক্ষক অমিত কুমার শীল বলেন, প্রভাবশালী ফেরদৌস খান ও তার পরিবার তাদের বসত বাড়ির পাশে কিছু জমি কিনে ওই জমির সাথে তাদের জমিও দখল করে নেয়ার পায়তারা করছে। দু’বারেই বাগান বাড়ির বহুগাছ কেটে নিয়েছে এ প্রভাবশালী মহলটি। স্থানীয়ভাবে ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছেও বিচার দিয়েও কোন ফয়সালা পায়নি। প্রভাবশালী মহলটির ভয়ে কেহ মূখ খুলে কথা বলতে পারেনা, ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যানের কথা তারা কোন কর্ণপাত করছেনা। যারা গাছ কেটে নিয়েছে তাদের সাথে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত আদালতে কোন মামলা মোর্কদ্দমা নেই। তবুও আমাদের ওপরে একের পর এক অন্যায়ভাবে হয়রানী করছে, গাছ কেটে নিচ্ছে প্রকাশ্যে দিবালোকে। এ ধরনের জুলুম ও অন্যায়ের ন্যায় বিচার দাবি করেন উর্ধ্বতণ প্রশাসনের কাছে ভুক্তভোগী শিক্ষক পরিবারটি।
এ সম্পর্কে সিদ্দিক খানের ছেলে ফেরদৌস খান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কারো গাছ কাটে নি, কোর্টের নির্দেশনায় তার জমির মধ্যে থাকা গাছ তিনি কেটেছেন। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) কে,এম শওকত হোসেন বলেন, সোনাখালী গ্রামে গাছ কাটার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
© দৈনিক বেলা বার্তা