প্রিন্ট এর তারিখঃ Dec 22, 2024 ইং || প্রকাশের তারিখঃ ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ইং
মসজিদের নামে টাকা তুলে আত্মসাৎ বিএডিসি কর্মকর্তার
জামালপুরে বিএডিসি সেচ কমপ্লেক্স জামে মসজিদের নামে ঠিকাদারদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) কার্যালয়ের সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুলাহ বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মসজিদের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করে বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) কায়সার আহমেদ মুন্সী বলেন, এ ঘটনা আমি এখানে যোগদানের আগে ঘটেছে।লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জামালপুর শহরের ফুলবাড়িয়ায় বিএডিসি কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুল্লাহ ২০১৮ সাল থেকে বিএডিসির আওতায় বিএডিসি সেচ কমপ্লেক্স জামে মসজিদের নামে প্রতিটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে আরও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। কোনো ঠিকাদারের প্রকল্পের টাকার চেক পাস হলেই মসজিদের জন্য কিছু টাকা দিতে হয়। মসজিদের নাম করে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দান করা এসব অর্থ কৌশলে আত্মসাৎ করেন এবায়দুল্লাহ। শুধু তাই নয়, সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার অধীনস্ত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়েও অনিয়ম করে আসছেন।
বিএডিসি জামালপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো. আকরামুজ্জামান বলেন, ‘আমি কোনো এক শুক্রবারে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে স্থানীয় মুসলিরা আমাকে বলেন, সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুলাহর কাছে দুই লাখ টাকা আছে। মসজিদের কোষাধ্যক্ষের কাছে ওই অর্থ জমা না দিয়ে তিনি অনেক দিন ধরে টালবাহানা করছেন। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে ঘটনার সত্যতা পাই। তবে সেই টাকা তিনি খরচ করে ফেলেছেন। এখন স্থানীয় মুসল্লিরা বলছেন, ওই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে বিএডিসির মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা মসজিদের টাকা ফেরত চাই।’
সহকারী প্রকৌশলী (সওকা) মো. আকরামুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মসজিদ কমিটির মাধ্যমে জানতে পারি, ২০১৯ সাল থেকে সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুলাহর কাছে দুই লাখ টাকা আছে। এর পরিপেক্ষিতে আমি নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানালে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’
এ বিষয়ে বিএডিসি জামালপুর রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) কায়সার আহমেদ মুন্সী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়গুলো আমি আসার আগে ঘটেছে। আমি শুনেছি। অফিসে এসব হয়েছে।’মসজিদের এক লাখ ২০ হাজার টাকা নিজের কাছে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) কার্যালয়ের সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুলাহ। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই টাকা মসজিদের কোষাগারে ফেরত দেবেন বলে জানান তিনি।
জামালপুর থেকে জাকিরুল ইসলাম বাবু
© দৈনিক বেলা বার্তা