প্রিন্ট এর তারিখঃ Dec 22, 2024 ইং || প্রকাশের তারিখঃ ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ইং
লামার মেরিন্জাতে আদিবাসি পাহাড়িদের জায়গা জবর দখলের চেষ্টা।
বান্দরবান প্রতিনিধি
পাহাড়িদের২৮৪নং ইয়াংছা মৌজার শত বছরের দখলিও জায়গা ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজার জায়গা বলে জবর দখলের চেষ্টা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে দুলাল মিয়া ও ফারুক গং নামের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
সুভাষ ত্রিপুরা ও রুবেল ত্রিপুরার সাথে কথা বলে জানা যায় যে,
১৯৮৪/৮৫ সনে লামা উপজেলার ২৮৪নং ইয়াংছা মৌজায় যৌত খামারের জি/৩৪ হোল্ডিং মূলে সরকার পাহাড়িদেরকে পাঁচ একর করে জায়গা দেন।সেই জায়গা পাহাড়িরা ভোগ দখলীয় অবস্থায় আছেন এবং ভোগ করে যাচ্ছেন।
শত বছর ধরে তারা উক্ত জায়গা ভোগ দখলীয় অবস্থায় আছেন বলে জানা যায়।
সুভাস ত্রিপুরা ও রোবেল ত্রিপুরা বলেন যে, সাম্প্রতিক সময়ে মেরিন্জাতে পর্যটন স্পট হওয়াতে সেখানে জায়গার দাম বেড়ে যাওয়ায় দুলাল মিয়া ও ফারুক গং নামে জনৈক ব্যক্তিগন এই জায়গার প্রতি কুদৃষ্টি পড়ে।তারা এই জায়গা দখলে নেওয়ার জন্য রুবেল ত্রিপুরা পিতা অহাচন্দ্র ত্রিপুরা,রিংরাও মুরুং পিতা সিংনম মুরুং,সামুয়েল মুরুংপিতা চংতাই মুরুং,ডানিয়েল মুরুংপিতা চংতাই মুরুং দেরকে বিভিন্নভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে জানা যায় যে,লাইডক ত্রিপুরার নামে জি/৩৪ নং হোল্ডিং এ ৫.০০একর তৃতীয় শ্রেণীর জায়গা তৌজিভূক্ত আছে। পরবর্তিতে লাইডক ত্রিপুরা আর্থিক অভাবের কারণে এবং টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় সুভাষ ত্রিপুরা কে ৩.০০একর এবং রুবেল ত্রিপুরা কে ১.৫০ একর জায়গা ১২১৯/২০০৯ইং রেজিস্ট্রিকৃত নম্বর ছাপ কবলা দলিল সম্পাদন করে জি/৩৪নং হোল্ডিংয়ের জমাবন্দিতে প্রচার হয়।
যাহা প্রথমে বায়নানামা মূলে ৮৩/২০০৮ নামজারির জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আবেদন করিলে "সহকারি কমিশনার ভূমি লামা" যথাযথ কর্তৃপক্ষের আদেশে সরজমিনে গিয়ে ২৮৪নং এয়াংছা মৌজার হেডম্যান এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ভোগ দখলে আছেন এবং কোন বিরোধ নেই বলে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।
পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে সুভাষ ত্রিপুরার নামে ৩ একর রুবেল ত্রিপুরার নামে ১,৫০দেড় একর জায়গার নামজারী সহ রেকর্ড ভুক্ত হয়।
যাহার চৌহদ্দিঃ
উত্তরেঃচংতাই সিং,দঃছমংউ মার্মা,পূর্বেঃ
রাস্তা, পশ্চিমেঃঝিরি।
সরজমিনে গিয়ে আরো জানা যায় শত বছরের পাহাড়িদের দখলীয় জায়গা দুলাল মিয়া এবং তার ভাই ফারুক গংরা দীর্ঘদিন যাবৎ তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-দমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে এবং বেশ কয়েকবার জায়গা দখলের চেষ্টা করছেন রুবেল ত্রিপুরা ।
রুবেল ত্রিপুরা অভিযোগ করে আরো বলেন দুলাল গং আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য এবং জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রথমে লামা নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মহোদয় বরাবর পিটিশন মামলা করেন।মামলা নং৪৯/২০২৪। যাহা বর্তমানে এসিল্যান্ড মহোদয়ের কাছে তদন্তধীন রয়েছে কিন্তু তাহা উপেক্ষা করে আবার দুলাল গং বান্দরবান সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আরেকটি মামলা করেন।যার মামলা নঃ১২৫ /২৪। রোবেল ত্রিপুরা আরো বলেন এভাবে আমাদেরকে মিথ্যা মামলা ও হুমকি দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে আমরা যাতে জায়গা ছেড়ে চলে যাই।
তাহারা এলাকাতে মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত।
বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং প্রশাসনের একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি।